চাঁপাইনবাবগঞ্জে করোনা সংক্রমণ রোধে জোলা প্রশাসন ১০টি বিধিনিষেধ আরোপ করে বিশেষ লকডাউন শিথিল করেছেন।শিথিলের সুযোগ নিয়ে কারণে বিনাকারণে ঘর থেকে বের হচ্ছেন মানুষ।বিধিনিষেধের প্রথম দিন থেকেই সড়কে মানুষের আনাগোনা বেড়েছে।
বুধবার (৯ জুন) জেলার বিভিন্ন স্হান ঘুরে দেখা গেছে। ১০ টি কঠোর বিধিনিষেধের কোন তোয়াক্কা ছাড়া অবাধে স্বাস্হ্যবিধি না মেনেই চলাফেরা করছেন মানুষ। মাক্স মুখে থাকার কথা থাকলেও ওই মাক্স শোভা পাচ্ছে থুঁতনিসহ শার্টের বুক পকেটে।জেলা করোনা মোকাবিলা কমিটির দাবী আম ব্যবসায়ীদের কথা ভেবেই বিশেষ লকডাউনের শিথিলতা করা হয়েছে।
আরিফুর রেজা নামের এক পথচারীর মুখে মাক্স ছিলনা। তার মুখে মাক্স না থাকার জিজ্ঞেস করলে তিনি বলেন; "খুব গরম তো; তাই মুখে মাক্স দিচ্ছিনা।"।
বিশ্বরোডের মুদি দোকানী আমিনুল ইসলামের মুখেও ছিলনা মাক্স। তার মুখে মাক্স না থাকার কথা জিজ্ঞেস করলে তিনি বলেন; " সারাদিনতো মুখেই মাক্স দিয়েই থাকি। এখন না হয় একটু মুখটা খুলে রাখলাম"।
বিধিনিষেধে শর্ত ছিল; ব্যাটারিচালিত অটো গাড়িতে দুজনের বেশি যাত্রি যাতায়াত করবেনা। কিন্তু জেলা শহরের শান্তি মোড়ে উল্টো চিত্র দেখা মিলেছে। রকেট নামের এক অটো চালক তার ভাড়াটে অটোতে চালকসহ ৬ জন যাত্রিনিয়ে শিবগঞ্জে আসবেন। তাকে এ দুজনের বেশি নিয়ে যাত্রী চলাচল করার কথা বললে তিনি বলেন " বোঝেন তো আমরা গরিব মানুষ। আমরা দিন আনি দিন খাই। গত ১৪ টা দিন একদিনেও গাড়ি বের করিনি"।
হোটেলে সকাল থেকে রাত ১০ টা পর্যন্ত খাবার প্যাকেট করে সরবারহ করার কথা থাকলেও দিব্বি হোটেল মালিকরা; চাদর দিয়ে দোকানের সামনদিক ঘিরে ভিতরে খাবার খাওয়াচ্ছেন"।এ বিষয়ে হোটেল মালিক আঃ রশিদ বলেন, পেটের দায়েই এমন কাজ করা।”
মোটরসাইকেলে একজন চলাচল কথা থাকলেও শিবগঞ্জের দাদনচক এলাকার ৩ কিশোর একসাথে চলাচল করছেন ওই মোটরসাইকেলে। তাদেরকে জেলা প্রশাসনের শর্তে কথা বললে তারা বলেন- " আমাদের গাড়ি আমাদের মন। আমরা যতজন উঠতে পারি। কেউ নিয়ম করেদিলে ওই নিয়ম মানতে হবে কে বলেছে?"।
সচেতন নাগরিকরা বলছেন; জেলায় আরোও ১ সপ্তাহ কঠোর লকডাউন দিলে ভালো হতো। কারণ ৫৮ শতাংশ থেকে ১৯ শতাংশ করোনা সংক্রমণের হার কমলেও বাড়েনি সচেতনতা। গত ২৪ ঘন্টায় জেলায় নতুন করে রেকর্ড ১৮৯ জন করোনায় আক্রান্ত। এন্টিজেন টেষ্টের কোন মূল্য নেই। ওই এন্টিজেন টেষ্টের কারনে অস্বাভাবিক হারে করোনা সংক্রমণের হার কমছে"।
সিভিল সার্জন ডা. জাহিদ নজরুল চৌধুরী জানান- জেলায় সর্বমোট করোনায় আক্রান্ত হয়েছে ২ হাজার ৮ শ ১৮ জন। সুস্থ হয়েছে ১ হাজার ৪ শ ৬৪ জন। জেলায় মোট করোনায় আক্রান্ত হয়ে ৬১ জনের মৃত্যু হয়েছে”