চাঁপাইনবাবগঞ্জে সুরক্ষিত অবস্থায় ৪ হাজার ৮০০ ডোজ করোনা ভ্যাকসিন এসে পৌঁছেছে। শুক্রবার দুপুরে একটি কাভার্ড ভ্যানে জেলা সিভিল সার্জন অফিসের ইপিআই স্টোরে ৪টি কার্টুনে ভ্যাকসিনগুলো এসে পৌঁছায়।
এসময় এ ভ্যাকসিনগুলো গ্রহন করেন, জেলা প্রশাসক মোঃ মঞ্জুরুল হাফিজ ও সিভিল সার্জন ডাঃ জাহিদ নজুরল চৌধুরী।
সিভিল সার্জন ডাঃ জাহিদ নজরুল চৌধুরী বলেন, ৪টি কার্টুনে ৪ হাজার ৮০০ ভায়াল ভ্যাকসিন পেলাম।প্রতি ভ্যায়ালে ১০ ডোজ ভ্যাকসিন আছে। সেই হিসেবে ৪৮ হাজার ডোজ ভ্যাকসিন পেলাম।এ্খন ভ্যাকসিনগুলো ইপিআই স্টোরে সংরক্ষন করা হবে। সরকারি সিদ্ধান্ত অনুযায়ী আগামী ৭ ফেব্রুয়ারি জেলা পর্যায়ে ভ্যাকসিন প্রদান কার্যক্রম শুরু হবে। এ কার্যক্রম সুশৃঙ্খলভাবে পরিচালনার জন্য জেলা স্বাস্থ্য কমিটি কাজ করছে এবং প্রাপ্ত দিক নির্দেশনা অনুসারে নিয়মতান্ত্রিকভাবে ভ্যাকসিন প্রদান কার্যক্রম আনুষ্ঠানিকভাবে শুরু করা হবে।
তিনি জানান, ১ ও ২ ফেব্রুয়ারি স্বাস্থ্যকর্মীদের ভ্যাকসিন প্রদানের প্রশিক্ষন দেয়া হবে। এরপর আধুনিক সদর হাসপাতালসহ উপজেলা স্বাস্থ্যকেন্দ্রের বিভিন্ন বুথে স্বাস্থ্যকর্মীদের মাধ্যমে সংশ্লিষ্টদের ভ্যাকসিন প্রদান করা হবে।প্রথমে জেলার সরকারি কর্মকর্তা, পুলিশ, স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ও কর্মীসহ সংশ্লিষ্টদের ভ্যাকসিন প্রদান করা হবে। সিভিল সার্জন বলেন, করোনা ভ্যাকসিন পেতে হলে প্রথমে ‘সুরক্ষা’ অ্যাপস এর মাধ্যমে রেজিস্ট্রেশন করতে হবে ।রেজিস্টেশন ছাড়া কেউ ভ্যাকসিন গ্রহন করতে পারবেন না বলে জানান তিনি এসময়, জেলা ঔষধ প্রশাসনের সহকারী পরিচালক মোসাঃ ফোয়ারা ইয়াছমিন, স্বাচিপের জেলা সভাপতি ও জেলা আওয়ামীলীগের সহ-সভাপতি ডাঃ গোলাম রাব্বানী, বেক্সিমকো ফার্মার সিনিয়র অফিসার মোঃ শিবলূ রহমান, রাজশাহী ডিপু ইনচার্জ আব্দুর রশিদসহ সিভিল সার্জন অফিসের কর্মকর্তা ও কর্মচারীগণ, পুলিশ ও র্যাব সদস্যরা উপস্থিত ছিলেন।
যে ওয়েবসাইটে নাম নিবন্ধন করতে হবে
https://www.surokkha.gov.bd/ নামের ওয়েবসাইটে টিকা নিতে আগ্রহীদের নাম নিবন্ধন করতে হবে।
সেখানে প্রথমে নিজের পেশার ধরণ, পেশা বাছাই করার পরে জাতীয় পরিচয়পত্র নম্বর ও জন্ম তারিখ দিতে হবে। বাংলাদেশের আইসিটি বিভাগের প্রোগ্রামাররা এই ডাটাবেজটি তৈরি করেছেন।
বাংলাদেশের তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি (আইসিটি) বিভাগের প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক বলেছেন, ''এটি একটি ওয়েব অ্যাপলিকেশন। দেশের ন্যাশনাল ডাটা সেন্টারে এটি হোস্ট করা হয়েছে। ফলে যত মানুষ এটায় নিবন্ধন করতে চাইবেন, সেই অনুযায়ী এর সক্ষমতা বৃদ্ধি করা। যাবে এর মোবাইল ভার্সনটি প্রস্তুত করে রাখা হবে। যখন স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় চাইবে, তখনি তাদের দেয়া হবে।
বাংলা ও ইংরেজি, উভয় ভাষায় এই ওয়েবসাইটে তথ্য পূরণ করা যাবে। ওয়েব অ্যাপলিকেশনে নিবন্ধন করতে হলে তাদের বয়স ন্যূনতম ১৮ বছর হতে হবে।