Oct 18, 2020

গোমস্তাপুরে সাংসদের বরাদ্দকৃত অর্থ ও চাল আত্মসাতের অভিযোগ

গোমস্তাপুর (চাঁপাইনবাবগঞ্জ) প্রতিনিধি:


চাঁপাইনবাবগঞ্জের গোমস্তাপুরে বিভিন্ন শিক্ষা ও ধর্মীয় প্রতিষ্ঠানে সাংসদের বরাদ্দকৃত চাল ও অর্থ আত্মসাতের অভিযোগ পাওয়া গেছে।

 সম্প্রতি দুদক চেয়ারম্যান বরাবর করা এক ইউপি সদস্যের এক লিখিত অভিযোগে এ তথ্য পাওয়া গেছে। অভিযোগ সূত্রে জানা গেছে, উপজেলার রাধানগর ইউনিয়নের ১নং ওয়ার্ডের দামইল গ্রামের বাসিন্দা আলতাব হোসেনের ছেলে সেরাজুল ইসলাম (নবাব), একই ওয়ার্ডের লেবুডাঙ্গা গ্রামের মোজাফ্ফর হোসেনের ছেলে আ: তফ (মাষ্টার), জমসেদ আলী ছেলে আনারুল, নুরসেদ আলী ছেলে রেজাউল, উজাল আলীর ছেলে আ: কুদ্দুস (ঝাইটন) ও সাঈদ আলীর ছেলে মোর্শারফ হোসেন ১টি প্রাথমিক বিদ্যালয়, ১টি মসজিদ ও ১টি মাদ্রাসার জন্য স্থানীয় সংসদ সদস্য আমিনুল ইসলামের বরাদ্দকৃত টিআর ও কাবিখা অর্থ ও চাউল উন্নয়ন মূলক কাজে ব্যয় না করে আত্মসাৎ করেছেন বলে অভিযোগে উল্লেখ করা হয়েছে।

এ সমস্ত অনিয়ম ও দূর্নীতির প্রতিবাদ করায় ওই ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য মজিবুর রহমানকে আত্মসাৎকারীরা প্রাণ নাশের হুমকি দেয়। এঘটনায় তিনি বাদী হয়ে গোমস্তাপুর থানায় একটি সাধারণ ডায়েরী করেছেন। অভিযোগে প্রকাশ, লেবুডাঙ্গা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের চলতি বছরে সাংসদ ও বিশেষ বরাদ্দের ২ লক্ষ ৯০ হাজার টাকা বরাদ্দ দেয়া হয়।

 এ প্রকল্পের চেয়ারম্যান ওই স্কুলের এসএমসির সভাপতি আজাহার আলীর সাথে যোগাযোগ করা হলে তার মোবাইল বন্দ পাওয়া যায়। তবে প্রধান শিক্ষকের চলতি দায়িত্ব পালনকারী সহকারী শিক্ষক আব্দুর তফ জানান, বরাদ্ধকৃত টাকার মধ্যে মাত্র ১৫ হাজার টাকা ওই শিক্ষা প্রতিষ্ঠানকে দেয়া হয়েছে। এছাড়া ওই এলাকার একটি সংস্কার করা রাস্তার (দামইল থেকে কুমির ডোবের) সড়কে পুনরায় ভ‚য়া প্রকল্প দেখিয়ে প্রায় ১০ মেঃ টন চাল আত্মসাত করা হয়েছে বলে অভিযোগ রয়েছে। 

এ ব্যাপারে প্রকল্প চেয়ারম্যান  ৩ নং ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য নুরুল ইসলাম জানান, ওই রাস্তায় বরাদ্দকৃত সমুদয় অর্থ যথাযথ ভাবে ব্যয় করা হয়েছে। একই এলাকার লেবুডাঙ্গা জামে মসজিদের নামে বরাদ্দকৃত ৯০ হাজার টাকার মধ্যে মাত্র ২৫ হাজার টাকা মসজিদ কমিটিকে প্রদান করা হয়েছে বাকি টাকা অন্যদের মাঝে বিতরণ করা হবে বলে মসজিদ কমিটির সভাপতি ও প্রকল্প চেয়ারম্যান এমদাদুল হক জানান।

একই এলাকার লেবুডাঙ্গা হাফিজিয়া মাদ্রাসার অনুক‚লে বরাদ্দকৃত ৯০ হাজার টাকার পুরোটায় আত্মসাৎ করা হয়েছে বলে অভিযোগ রয়েছে। তবে প্রকল্প চেয়ারম্যান ও মাদ্রাসা কমিটির সভাপতি রফিকুল ইসলাম মাস্টার জানান, প্রকল্পের যথাযথ কাজ করা হয়েছে। 

এ প্রসঙ্গে উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা হাবিবুর রহমানের সাথে যোগাযোগ করা হলে তিনি জানান, অভিযোগগুলো তার জানা নেই। তবে অভিযোগ পেলে তদন্ত করে প্রকল্প চেয়ারম্যানদের বিরুদ্ধে যথাযথ ব্যবস্থা নেয়া হবে।   

সংবাদটি শেয়ার করুন:

Author: verified_user

ই-মেইল: amarchapaibd@gmail.com