এর ফলে এই প্রকল্পের ভূমি অধিগ্রহণে যে জটিলতা চলছিল সেটি কেটে গেল। এটি একটি তাৎপর্যপূর্ণ অগ্রগতি বলে মনে করছে সেতু কর্তৃপক্ষ। সূত্রগুলো জানায়, সংশ্লিষ্ট সংস্থাগুলোর মধ্যে রেলওয়ে ১৭ দশমিক ৯ একর, সওজ ৮০ দশমিক ২ একর, পানি উন্নয়ন বোর্ড ৪৯ দশমিক ৬ একর, সিভিল এভিয়েশন ৯ দশমিক ৪ একর, থানা কাউন্সিল, সাভার ০ দশমিক ৫৯ একর, রাজউক ৫ একর, ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশন ০ দশমিক ১২ একর, টিসিবি ০ দশমিক ৪৩ একর, সোনালী ব্যাংক ০ দশমিক ০৯ একর, সিআইডি ০ দশমিক ২ একর, কৃষি ব্যাংক ০ দশমিক ২৫ একর, বিডিবিএল ০ দশমিক ৬২ একর এবং গণপূর্ত অধিদফতর ০ দশমিক ০১ একর জমি দিতে সম্মত হয়েছে।
জানা গেছে, গত ৪ সেপ্টেম্বর সেতু বিভাগের সিনিয়র সচিব খন্দকার আনোয়ারুল ইসলামের সভাপতিত্বে একটি সভা হয়। ওই সভায় অ্যালাইনমেন্টভুক্ত জমি প্রকল্পের কাজে ব্যবহারের জন্য সেতু কর্তৃপক্ষের বরাবর বুঝিয়ে দেওয়ার জন্য দাতা সংস্থাগুলোর সঙ্গে সমঝোতা স্মারক স্বাক্ষরের সিদ্ধান্ত হয়। প্রকল্পটি জনগুরুত্বপূর্ণ হওয়ায় এর আগে জমি দাতা সংস্থাগুলো সেতু কর্তৃপক্ষ বরাবর তাদের জমি বুঝিয়ে দেওয়ার বিষয়ে সম্মতি দেয়।
সেতু কর্তৃপক্ষের কর্মকর্তারা জানান, উল্লিখিত সংস্থাগুলো তাদের জমি দিতে সম্মত হওয়ার পর এখন এটি বলা যায় যে, এর মধ্য দিয়ে প্রকল্পটির বাস্তবায়নে বড় ধরনের জটিলতা কেটে গেল। ফলে চীনের সঙ্গে এখন ঋণ চুক্তির বিষয়টিও সহজ হয়ে যাবে। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক সেতু কর্তৃপক্ষের এক কর্মকর্তা জানান, ভূমি অধিগ্রহণ পুরোপুরি না করতে পারলে চুক্তির পর প্রকল্প বাস্তবায়নে জটিলতা দেখা দিত। দেখা যাবে কাজ শুরুর পর ঠিকাদারের ব্যয় বাবদ অর্থ ছাড় করছে না চীনের এক্সিম ব্যাংক।
কারণ যে কোনো প্রকল্পে বিদেশি ঋণ দাতাদের কাছ থেকে অর্থ নিতে গেলে ভূমির সমস্যা আগে সমাধান করতে হয়। রাজধানীর যানজট কমাতে ঢাকা-আশুলিয়া এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ে নির্মাণ প্রকল্প হাতে নেওয়া হয় ২০১৭ সালের সেপ্টেম্বরে। ২০২২ সালের জুলাইয়ে প্রকল্পটির কাজ শেষ হওয়ার কথা ছিল। প্রায় ১৭ হাজার কোটি টাকা ব্যয়ে নির্মিতব্য এই প্রকল্পটির মোট খরচের মধ্যে প্রায় ১১ হাজার কোটি টাকা ঋণ দেওয়ার কথা চীনের এক্সিম ব্যাংকের। বাকি টাকা অর্থায়ন করছে বাংলাদেশ সরকার। ভূমি অধিগ্রহণসহ এরই মধ্যে বাংলাদেশ অংশের কাজ এগিয়ে গেলেও চীনের সঙ্গে ঋণ চুক্তি এখনো সম্পন্ন না হওয়ায় মূল কাজ শুরু হয়নি। আলোচ্য প্রকল্পটি বাস্তবায়নে চীনের সঙ্গে ঋণ চুক্তির বিষয়ে আলোচনা করছে অর্থনৈতিক সম্পর্ক বিভাগ (ইআরডি)। ২০১৯ সালে প্রকল্পের আওতায় ঋণ চুক্তির বিষয়ে সর্বাত্মক প্রচেষ্টা চালানো হলেও শেষ পর্যায়ে আর চুক্তি হয়নি।