অনেকেই মনে করছেন, মামলা দায়েরের পরামর্শটা নূর নিজেই দিয়েছেন। কারণ ডাকসু পদ থেকে সরে যাওয়ার পর রাজনৈতিক আলোচনার বাইরে তিনি। দেশের মানুষের কাছে নিজের অবস্থান জানান দিতে দলের কর্মীদের দিয়ে উদ্দেশ্যপ্রণোদিতভাবে তিনি নিজের নামে মামলা দায়েরের পরামর্শ দিতে পারেন। কারণ নূরের বিরুদ্ধে মামলাটি তার রাজনৈতিক প্রতিপক্ষ করেননি, করেছেন তার নিজের সহযোদ্ধাই।
অনেকেই বলাবলি করছেন, রাজনৈতিক ফায়দা লুটতে খুবই পারদর্শী নূরুল হক নূর। সাধারণ মানুষের আবেগকে ব্যবহার করে কোটা সংস্কার আন্দোলনের নেতৃত্ব দেন নূর। সেটি ছিলো অরাজনৈতিক আন্দোলন। সেই আন্দোলনকে পুঁজি করে গড়ে তোলেন ‘বাংলাদেশ ছাত্র অধিকার পরিষদ’ নামের একটি রাজনৈতিক প্লাটফর্ম। তবে সেটিতে খুব বেশি সুবিধা করতে পারেননি। ছিলেন আলোচনা বা সমালোচনার বাইরে। ঠিক এমন পরিস্থিতিতে মামলা হয় নূরের বিরুদ্ধে। এতে আলোচনায় আসেন তিনি। বিভিন্ন সময়ে দেখা গেছে, নূর নিজের লোক দিয়ে ইস্যু তৈরি করে প্রতিপক্ষের উপর দোষ চাপান। এবারো তার ব্যতিক্রম নয়।
গত রোববার রাতে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের এক ছাত্রী লালবাগ থানায় নুরুলসহ ছয়জনের বিরুদ্ধে ধর্ষণ মামলা করেন। কোতোয়ালি থানার মামলাটি একই ছাত্রী করেন। মামলার প্রধান আসামি বাংলাদেশ ছাত্র অধিকার পরিষদের আহ্বায়ক হাসান আল মামুন। তার বিরুদ্ধে ওই ছাত্রী বিয়ের প্রলোভন দেখিয়ে ধর্ষণ এবং পরে বিয়ে করতে রাজি না হওয়ার অভিযোগ আনেন। মামলায় নুরুলের বিরুদ্ধে অভিযোগ, তিনি মীমাংসা করার নামে ওই ছাত্রীকে ডেকে নিয়ে শাসিয়েছেন।