সোমবার গাজীপুরে এ দুটি জাতের গবেষণা মাঠ পরিদর্শন করেন বাংলাদেশ কৃষি গবেষণা কাউন্সিলের নির্বাহী চেয়ারম্যান ড. শেখ মোহাম্মদ বখতিয়ার এবং বারি’র মহাপরিচালক ড. মো. নাজিরুল ইসলাম।
দেশের বিভিন্ন জায়গা থেকে সংগৃহীত বিশুদ্ধ লাইন থেকে উদ্ভাবিত এ দুটি ওপি (ওপেন পলিনেটেড) জাতের একটির ভিতরে (মাংসল অংশ) হলুদ এবং অপরটির ভিতরে টকটকে লাল। শীঘ্রই এ জাত দুটি নিবন্ধনের মাধ্যমে মুক্তায়িত করা হবে বলে জানান তারা।
বারি’র প্রটোকল অফিসার মো. আল আমিন জানান, জাত উদ্ভাবনের সাথে সংশ্লিষ্ট বারি’র আমাদের দেশে গ্রীষ্মকালে যেসব উন্নতমানের তরমুজ পাওয়া যায় তার প্রায় সবই জাপান বা অন্যান্য দেশ যেমন- চীন, থাইল্যান্ড, ভারত থেকে আমদানিকৃত শঙ্কর জাতের বীজ থেকে উৎপাদন করা হয়। ফলে তরমুজের বীজ আমদানি বাবদ প্রতি বছর প্রচুর বৈদেশিক মুদ্রা খরচ করতে হয়।
এছাড়া এসব জাতের বীজের বিশুদ্ধতা ও অঙ্কুরোদগম হার সব সময় ঠিক না থাকায় কৃষকরা প্রতারিত হয়ে থাকেন। কিন্তু বারি উদ্ভাবিত জাত দুটি থেকে কৃষক নিজেই বীজ উৎপাদন করতে পারবে। এদের ফলন, আকৃতি, স্বাদ ও মিষ্টতা প্রচলিত জাপানী শঙ্কর জাতের চেয়ে উন্নততর। এছাড়া এ জাত দুটি বাংলাদেশের আবহাওয়া উপযোগী অমৌসুমী জাত হওয়ায় কৃষক এখান থেকে অধিক লাভবান হবে।
হাইব্রিড জাত হিসেবে মুক্তায়িত হওয়ার পর ব্যাপক সম্প্রসারণের প্রয়োজনীয় উদ্যোগ গ্রহণ করলে বীজ আমদানি বাবদ বিপুল বৈদেশিক মুদ্রা বাঁচানো সম্ভব হবে এবং তরমুজ উৎপাদনের ক্ষেত্রে দেশে এক নতুন দিগন্তের উন্মোচন হবে বলে তারা আশা প্রকাশ করেন।
এ সময় অন্যান্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন বারি’র পরিচালক (গবেষণা) ড. মো. মিয়ারুদ্দীন, পরিচালক (পরিকল্পনা ও মূল্যায়ন) ড. মো. কামরুল হাসান, পরিচালক (প্রশিক্ষণ ও যোগাযোগ) ড. মুহাম্মদ সামসুল আলম, সবজি বিভাগের মুখ্য বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা ড. ফেরদৌসি ইসলাম, জাত উদ্ভাবনের সাথে সংশ্লিষ্ট বিজ্ঞানীসহ বিভিন্ন বিভাগের বিজ্ঞানী ও কর্মকর্তাবৃন্দ।