May 31, 2020

মা-মেয়ের অবাক কান্ড;পরিচয়ের ১০ দিনের মধ্যে বিয়ে


বিয়ে দেওয়ার নাম করে টাকা হাতিয়ে নেয়,মা-মেয়ের অবাক করা কান্ড।পরিচয়ের ১০দিনের মধ্যেই বিয়ের ব্যবস্হা আর করা হয় রমরমা আয়োজন।মেয়ে মুন্নী আক্তারকে (১৮) কে বিয়ে দেওয়ার প্রলোভন দেখিয়ে প্রভাবশালী যুবকদের কে টার্গেট করে মা পরি ভানুর (৪০) এটায় তাদের পেশা।বিয়ে দেওয়ার প্রলোভন দেখিয়ে হাতিয়ে নেয় মোটা অঙ্কের টাকা।


অবশেষে চক্রের অন্যতম দুই সদস্য মা ও মেয়েকে গ্রেফতার করেছে র‌্যাব-৮।শনিবার (৩০ মে) দুপুরে বরিশাল র‌্যাব-৮-এর সদর দফতর থেকে এসব তথ্য জানানো হয়।এ সময় তাদের কাছথেকে উদ্ধার করা হয় নগদ অর্থ ও স্বর্ণালঙ্কার।মা মেয়ে ঝালকাঠীর রাজাপুর উপজেলার আফিসার্স ক্লাব এলাকার মা বাদল মৃধার স্ত্রী।অন্যদিকে মেয়ে জুম্মন মোল্লার স্ত্রী।

র‌্যাব জানায়, বিয়ের প্রলোভন দেখিয়ে একটি সংঘবদ্ধ প্রতারক চক্র যুবকদের কাছ থেকে টাকা হাতিয়ে নিচ্ছে- এমন অভিযোগ পেয়ে তদন্ত করতে শুরু করে র‍্যাব ৮এর বিশেষ একটি দল। বরিশাল নগরীর মাসুদ নামে এক যুবকের সঙ্গে পরিচয়ের ১০ দিনের মধ্যে বিয়ের প্রভোলন দেখিয়ে ৫০ হাজার টাকা হাতিয়ে নেন মেয়ে আর মেয়ে।

র‌্যাব জানায়, ১৭ মে মুন্নী বরিশাল নগরীর সাগরদী বাজারে একটি কনফেক্সনারীর দোকানে এসে নিজেকে গরিব ও অসহায় দাবি করে বাবার চিকিৎসার জন্য সাহায্য চান।এ সময় নিজেকে অবিবাহিত পরিচয় দিয়ে কনফেকশনারির মালিক মাসুদ হোসেনের সঙ্গে মোবাইল নম্বর আদান-প্রদান করেন।একপর্যায়ে তাদের কথা শুরু হয় মুঠোফনে কিছুদিন যেতে না যেতেই মাসুদকে বিয়ের প্রলোভন দেখিয়ে প্রেমের সম্পর্ক গড়েন মুন্নী।

 একপর্যায়ে মা পরিভানু তার মেয়েকে তাড়াতাড়ি বিয়ে করার জন্য মাসুদকে চাপ দেন।বিয়ের খরচ বাবদ ৫০ হাজার টাকা দাবি করেন তিনি।পরে পরিভানুর কথামতো ২৭ মে ৫০ হাজার টাকা নিয়ে মুন্নীকে বিয়ে করতে রাজাপুরে যান মাসুদ। সেখানে পৌঁছার পর মাসুদের কাছ থেকে ৫০ হাজার টাকা নিয়ে পালিয়ে যান মা পরি ভানু।

মাসুদ দ্রুত র‍্যাবের কাছে সাহায্য চায়। অভিযোগের ভিত্তিতে শুক্রবার রাত সাড়ে ১১টার দিকে রাজাপুর শহরের বাইপাস মোড় থেকে মা ও মেয়েকে গ্রেফতার করে র‌্যাব।

র‌্যাব আমার চাঁপাইকে জানায়, জিজ্ঞাসাবাদে মা ও মেয়ে বিয়ের প্রলোভন দেখিয়ে টাকা আত্মসাতের কথা স্বীকার করেছেন। তাদের দেয়া তথ্যের ভিত্তিতে এ চক্রের অন্য সদস্যদের গ্রেফতার অব্যহত আছে।
সংবাদটি শেয়ার করুন:

Author: verified_user

ই-মেইল: amarchapaibd@gmail.com