এ্যাকাউন্ট নং-(৭০১-৭৫১-৮২০২৯২৬)। তার মধ্যে হতে তিনি কিছু টাকা উত্তোলন করেছেন। বর্তমানে তার এ্যাকাউন্টে ৭ লক্ষ ১ হাজার টাকা জমা আছে। গত কয়েকদিন আগে তিনি টাকা উত্তোলন করবে মর্মে এজেন্ট ব্যাংকিং শাখায় যায়। সেখানে এজেন্ট ব্যাংকিং শাখার দায়িত্বশীল জামালের অসংলগ্ন কথাবার্তা শুনে শাহনাজের সন্দেহ হয়। পরে ভুক্তভোগী ২১ এপ্রিল বুধবার ডাচ বাংলা ব্যাক লিমিটেড, চাঁপাইনবাবগঞ্জ শাখায় যোগাযোগ করলে তার এ্যাকাউন্টে মাত্র ৫২ টাকা আছে বলে জানায় ব্যাংক কর্তৃপক্ষ। এবিষয়ে ডাচ বাংলা এজেন্ট ব্যাংকিং বালূগ্রাম শাখার দায়িত্বশীল বালিয়াডাঙ্গা গ্রামের মাওলানা সানাউল্লাহর ছেলে অভিযুক্ত জামাল বলেন, এজেন্ট নাসিরের একটি নারী কল্যাণ সংস্থা নামক এনজিও আছে। শাহনাজ বেগমের টাকা ওই এনজিও’র হিসেবে আছে।ডাচ বাংলা এজেন্ট ব্যাংক এর জমা রশিদে টাকা নিয়ে এনজিও টাকা ব্যবহার করা অপরাধ কিনা জানতে চাইলে জামাল বলেন, এটা মালিক নাসিরের নির্দেশে করেছি। অপরাধ কিনা তা নাসির বলতে পারবেন। এবিষয়ে বালূগ্রাম শাখার এজেন্ট ও নারী কল্যাণ সংস্থা’র চেয়ারম্যান নাসির উদ্দীন বলেন, এবিষয়ে তিনি কিছুই জানেন না। জামালের সাথে কথা বললে তিনি বিষয়টির ব্যাপারে অবগত হবেন। তিনি বলেন, বিষয়টি সমাধানের জন্য কিছুদিন সময় দিতে হবে। এজেন্ট ব্যাংকিং এর আড়ালে আপনি এনজিও পরিচালনা করছেন, এটা কি প্রতারণা নয়, জানতে চাইলে নাসির বলেন, এতকিছু বলা সম্ভব নয়, আপনি ফোনটি কাটেন। ডাচ-বাংলা এজেন্ট ব্যাংক, সদর উপজেলার এরিয়া ম্যানেজার তাপস কুমার দাস বলেন, বিষয়টি আমি জানি। এবিষয়ে ব্যাংক কর্তৃপক্ষের সাথে কথা হয়েছে। শীঘ্রই নাসিরের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। ভুক্তভোগী শাহনাজ তার টাকা ফেরৎ পাবে কিনা, পেলে কিভাবে পাবে বা কতদিনের মধ্যে পাবে জানতে চাইলে তাপস বলেন, তিনি (শাহনজ) যাতে তার টাকা ফেরৎ পান সে ব্যবস্থা নিবে কর্তৃপক্ষ।
তিনি আরও বলেন, এটি ব্যাংকের মান সম্মানের বিষয়, তাই অবশ্যই তদন্ত পুর্বক ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। শেষ খবর পাওয়া পর্যন্ত দশদিনেও কোন ব্যবস্থা গ্রহণ করেনি ব্যাংক কর্তৃপক্ষ। অভিযুক্ত জামাল ভুক্তভোগীর সাথে যোগাযোগ রাখলেও মুল কারিগর নাসির জানিয়েছেন, জুলাই মাসের আগে টাকা ফেরৎ দেওয়া সম্ভব না। আর ভুক্তভোগী শাহনাজ টাকার শোকে অসুস্থ হয়ে শয্যাশায়ী। তার স্বামী আব্দুস সামাদ টাকা উদ্ধারে ব্যাংকের দ্বারে দ্বারে ঘুরছেন।