Apr 2, 2021

তিনে পা

চাঁপাইনবাবগঞ্জ জেলার সর্বাধিক পঠিত অনলাইন পোর্টাল আমার চাঁপাই। দুবছর শেষ করে তিন বছরে পা দিয়েছে। দৈনিক লাক্ষাধিক পাঠকের আস্থা আমার চাঁপাই নামক অনলাইন পোর্টালটির। গত ৩ মাস থেকে এলেক্সা রাঙ্কিং এ জেলার অনলাইন পোর্টাল গুলোর মধ্যে  প্রথমস্থান দখল করে রেখেছে ।


 ২০১৯ সালের ২০ ফেব্রয়ারী। প্রথম যাত্রা শুরু করে। বলে রাখা ভালো; এ পোর্টালটির কয়েক বার নাম পরিবর্তন করা হয়েছে। প্রথমে হারঘে লবগঞ্জ নামে যাত্রা শুরু করে। ইচ্ছা ছিলো চাঁপাইনবাবগঞ্জের আঞ্চলিক ভাষা দিয়ে সংবাদ প্রকাশ করা। এ আঞ্চলিক ভাষায় সংবাদ লিখতে গিয়ে কতৃপক্ষ সময়ের গুরুত্ব ভেবে নাম পরিবর্তন করে। নাম দেয়া হয় আমাদের চাঁপাই। এ নামে যখন পোর্টালটির ডোমেইন ক্রয় করা হলো; নাম বড় হয়ে যাওয়াসহ অনিবার্য কারণবশত ফের নাম পরিবর্তন করার উদ্যেগ নেয়। নাম পরিবর্তন করে রাখা হলো " আমার চাঁপাই"।শুরু থেকে আজ অবধি আমার চাঁপাই নামক অনলাই পোর্টালে জেলার সংবাদ প্রকাশিত করা হয়েছে প্রায় দু-হাজার।

চাঁপাই দর্পণের স্টাফ রিপোর্টার টুটুল রবিউলের সাথে আমার চাঁপাই'র পাবলিশার মেহেদী হাসান শিয়াম যায় বালিয়াডাঙ্গায়। সুত্র খবর দিয়েছিলো বালিয়াডাঙ্গার পিয়ারাপুরে নিজ ভাইয়ের নির্যাতনের শিকার ছোট বোন। জমি জায়গার জের ধরে ছোট বনের বাড়ির দরজা অবরুদ্ধ করে রাখে বড় ভাই। সংবাদটি প্রকাশিত হয় আমার চাঁপাই পোর্টালে। সদর উপজেলার সাবেক ইউএনও আলমগীর সংবাদটি পড়ে। সেই ছোট বোনের দরজায় করা ইটের দালান ভেঙ্গে আসে ভ্রাম্যমাণ আদালত। পরে সে পরিবারটি মুক্তি পায়। তখনও নজরে রাখে আমার চাঁপাই'র পাবলিশার শিয়াম। গোপন সুত্রধরে খবর আসে; সরকার গরিব রিক্সাচালকদের রিক্সা দিবেন। চাঁপাইনবাবগঞ্জ জেলায় পাবে ৪জন। সেই ছোট বনের জামাই (বর)  রিক্সাচালক। তাকে রিক্সা নিয়ে দেয়ার ব্যবস্থা করে। পরে তাকে ফেব্রুয়ারী মাসের প্রথম সপ্তাহে রিক্সা দেয়া হয় সরকার থেকে।

 শিবগঞ্জ পৌরসভার ৩নং ওয়ার্ডে প্রকাশ্যে চলছিলো মাদক ব্যবসা। এ মর্মে একটি সংবাদ প্রকাশিত হয় আমার চাঁপাই অনলাইন পোর্টালে। ৭দিনের মাথায় অভিযুক্ত মাদক ব্যবসায়ীকে ৬৭ বোতল ফেন্সিডিল সহ আটক করে ডিবি পুলিশ। তার দেড় বছরের কারাদণ্ড হয়। এখনো সে কারাভোগ করছে।

আমার চাঁপাই পোর্টালে "বাদাম বিক্রি করে চলেই জীবন" এ শিরনামে একটি সংবাদ প্রকাশিত হয়। ঐ মহিলা বাদাম বিক্রি করে বারোঘরিয়া ব্রিজের উপর। ৫৩ বিজিবি চেকপোস্টের পাশে। স্বামী মৃত্যুতে সংসার না চলার করানে বাদাম বিক্রি করে। তার ছেলে গৌড়। সেও নতুন বাড়ি করেছে। তার মাকেও বাড়ি থেকে বের করে দিয়েছে। সংবাদটি প্রকাশিত হওয়ার পর জেলা প্রশাসক মঞ্জুরুল হাফিজ ঐ মহিলার মুঠোফন নাম্বার নিয়ে; জেলা প্রসাশক নিজেই মুঠোফনে যোগাযোগ করেন। একদিন ডিসি তার অফিসে আসতে বলেন সেই বাদাম বিক্রেতা মহিলাকে। ডিসির সাক্ষাৎ পেয়ে; ঐ মহিলা একটি বাড়ির আবদার করেন। আমনুরায় নির্মাণাধীন  গুচ্ছগ্রামে জেলা প্রশাসক তাকে বাড়ি দেয়ার আশ্বাস দেয়। এরকম উল্লেখযোগ্য আরোও ঘটনা আছে। 

আমার চাঁপাইয়ে প্রকাশিত সকল সংবাদ নির্ভূল করার চেষ্টা করে প্রকাশিত করে। বিশেষ করে বানান। তারপরে বাক্য গঠনে। কোন গণমাধ্যম কর্মীরা সেচ্ছায় বানান ভুল করেনা। আমার চাঁপাই অনলাইন পোর্টালে বানান ভূল হয়ে থাকে। সে সকল ভূল ক্ষমার দৃষ্টিতে দেখবেন। আমার চাঁপাই তিনে পা দিয়ছে। তাই আমার চাঁপাই নতুন প্রতিজ্ঞা নিয়ে ফের পথ চলবে। সঠিক ঘটনা,আর বানান নির্ভূলে বেশ নজর রাখবে আমার চাঁপাই' প্রকাশনা মন্ডলীরা।

 


সংবাদটি শেয়ার করুন:

Author: verified_user

ই-মেইল: amarchapaibd@gmail.com