২২ অক্টোবর ২০২০ তারিখে দৈনিক নয়াদিগন্ত,মানব জমীন, চাঁপাই দর্পণ, চাঁপাই চিত্রসহ বিভিন্ন পত্রিকা ও অনলাইন পোর্টালে প্রকাশিত ”ভোলাহাটে পয়ঃনিষ্কাশন বন্ধের কারণে ৬০০ বিঘা জমির ধান নষ্ট” শিরোনামে সংবাদটি আমার দৃষ্টিগোচর হয়েছে।
সংবাদটি সম্পুর্ণ মিথ্যা তথ্যের ভিত্তিতে প্রকাশিত হয়েছে।আমি নিম্ন সাক্ষরকারী এর তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাচ্ছি। সংবাদে পয়ঃনিষ্কাশনের পথ বন্ধের কথা উল্লেখ করা হয়েছে, যা সম্পুর্ণ মিথ্যা। বিলভাতিয়া বিলের পানি নিষ্কাশনের যে তিনটি পয়েন্ট আছে, তা উম্মুক্ত রয়েছে। সেই পথ দিয়ে প্রতিনিয়ত পানি বের হচ্ছে। সত্য ঘটনা হল-অতিবৃষ্টির কারণে বিলের পানি ও নদীর পানির উচ্চতা একই হওয়ায় পানি নিষ্কাশন দ্রুত হচ্ছেনা।
এজন্য বিল ইজারা গ্রহণকারী আমি কোনভাবেই দায়ী নই। এটা একটি প্রাকৃতিক দুর্যোগ। আর সংবাদে যে ২ জন কৃষকের নাম উল্লেখ করা হয়েছে, তারা প্রকৃত কৃষক নয়। তারা সরকারি খাস জমি অবৈধভাবে দখলে নিয়ে অন্য চাষীদের দিয়ে চাষাবাদ করে। এভাবে তারা প্রকৃত ভুমিহীন কৃষকদের হক মেরে নিজেদের আখের গোছাচ্ছে। সংবাদে ৬০০ বিঘা জমির ধান নষ্টের কথা বলা হলেও তা প্রকৃত পক্ষে ৫০-৬০ বিঘা হতে পারে। অতিবৃষ্টির কারণে সারাদেশের বিভিন্ন হাওর-বিলের অনেক ধানী জমি পানিতে তলিয়ে ধান নষ্ট হয়েছে। ঠিক এখানেও তাই হয়েছে। এজন্য সরকার, ইজারা গ্রহনকারী বা অন্য কেউ দায়ী নয়। সঠিক নিয়মে বিলভাতিয়া বিলটি সরকার কর্তৃক আমি লিজ গ্রহণ করেছি। লিজ নেয়ার পর হতে সরকারি নির্দেশনা/শর্তাবলী মেনে আমি বিলটিতে মাছ চাষ ও আহরণ কাজ চালাচ্ছি।
তাই সংবাদটি সম্পুর্ণ মিথ্যা ও ভিত্তিহীন তথ্যের আলোকে প্রকাশিত হয়েছে। আমি এহেন ভিত্তিহীন ও মানহানিকর সংবাদের তীব্র প্রতিবাদ জানাচ্ছি। সেই সাথে আমি সাংবাদিক ভাইদের সরেজমিন এসে প্রকৃত সত্য ঘটনা তুলে ধরে সংবাদ প্রকাশের আহবান জানাচ্ছি।
প্রতিবাদকারী
মোঃ বজলুর রহমান
সভাপতি
ভোলাহাট উপজেলা মৎস্যজীবী সমবায় সমিতি
ভোলাহাট উপজেলা, চাঁপাইনবাবগঞ্জ।