Oct 27, 2020

গতি ফিরছে খুলনার বড় দুই প্রকল্পে


করোনার প্রভাব দীর্ঘ মেয়াদে বৃষ্টিসহ নানা প্রতিকূলতায় খুলনার জলাবদ্ধতা নিরসন ও সড়ক সংস্কার কাজ বাধাগ্রস্ত হয়েছে। এতে একদিকে উন্নয়নের কাজে কালভার্ট ড্রেন খোঁড়াখুঁড়ি, অন্যদিকে সড়কে ছোট-বড় গর্ত, খানা-খন্দে সৃষ্টি হয়েছে নাগরিক ভোগান্তি। তবে এ অবস্থার নিরসনে বড় ধরনের সংস্কার কাজের পরিকল্পনা হাতে নিয়েছে খুলনা সিটি করপোরেশন। আগামী নভেম্বরে একই সাথে ১৮০ কোটি টাকার সড়ক-ড্রেন নির্মাণ ও সংস্কার কাজ শুরু হচ্ছে। সিটি মেয়র তালুকদার আবদুল খালেক বলেন, আবহাওয়া অনুকূলে না থাকায় গত অর্থবছরের অনেক কাজ এখনো শেষ হয়নি। সর্বশেষ গত ২৩ ও ২৪ অক্টোবর বৃষ্টি হওয়ায় চলমান প্রায় ১০০টি সংস্কার কাজ বন্ধ হয়ে যায়। তিনি বলেন, কার্পেটিং দেওয়ার আগে ১০ থেকে ১৫ দিন সড়ক শুকনা অবস্থায় রাখতে হয় কিন্তু এবার দীর্ঘ মেয়াদে বৃষ্টির কারণে তা সম্ভব হয়নি। তারপরও চলতি অর্থবছরের সংস্কার কাজে দরপত্র দেওয়া হয়েছে। জানা যায়, এ বছর সড়ক সংস্কার কাজে ১০০ কোটি ও ড্রেন নির্মাণ কাজে ৮০ কোটি টাকা সরকারি বরাদ্দ পাওয়া গেছে। আগামী নভেম্বর মাস থেকে শুরু করে ২০২১ সালের ফেব্রুয়ারির মধ্যে সব কাজ শেষ করার পরিকল্পনা করা হয়েছে। এদিকে বিশ্লেষকরা বলছেন, জলাবদ্ধতা নিরসন ও ড্রেনেজ ব্যবস্থা উন্নয়নে ৮২৩ কোটি টাকা এবং সড়ক মেরামত ও উন্নয়নে ৬০৮ কোটি টাকার বড় দুটি প্রকল্পে বদলে যাবে খুলনা মহানগরী। প্রকল্প দুটি একনেকে অনুমোদনের পর দুই কিস্তির টাকা হাতে পেয়েছে সিটি করপোরেশন। কিন্তু ১ম বছরে করোনার কারণে কাজ করতে না পারায় এখন দুই বছরের কাজ একসঙ্গে করা হবে।  বৃহত্তর খুলনা উন্নয়ন সংগ্রাম সমন্বয় কমিটির সভাপতি শেখ মোশারফ হোসেন বলেন, নগরীর উন্নয়নে পরিকল্পনা নিয়ে কাজ করতে হবে। অপরিকল্পিত উন্নয়নে সুবিধার চেয়ে ভোগান্তি বেশি হচ্ছে। যদিও সার্ভে যাচাই বাছাই করে প্রকল্প নেওয়া হচ্ছে বলে জানিয়েছেন কেসিসির কর্মকর্তারা। জানা যায়, সড়ক মেরামত প্রকল্পে প্রথম দফায় প্রায় ৭৮ কিলোমিটার সড়ক কার্পেটিং, ১৫১ দশমিক ৯২ কিলোমিটার সড়ক আরসিসি ঢালাই ও ৩৩ কিলোমিটার সড়ক সিসি ঢালাই দেওয়া হবে। এসব নির্মাণ ও সংস্কার কাজে নগরবাসীকে দায়িত্ব নিয়ে নজরদারি করার আহ্বান জানিয়েছেন সিটি মেয়র।  তিনি বলেন, ‘যদি ড্রেন ও সড়কে নিম্নমানের কাজ হয়, আমাকে মোবাইলে জানাবেন। তারপরের দায়িত্ব আমার। কারো ভয়ে নিম্নমানের কাজ চলবে না। যার বাড়ির সামনের কাজ নিজেরা বুঝে নেবেন। নিম্নমানের কাজ হলে আপনাকেই পরে ভোগান্তিতে পড়তে হবে। কাউকে ভয় পেয়ে চলা যাবে না।’

সংবাদটি শেয়ার করুন:

Author: verified_user

ই-মেইল: amarchapaibd@gmail.com