Sep 27, 2020

অবিশ্বাস্য কর্মযজ্ঞ

 এক সময় পদ্মা নদী ছিল মাদারীপুরের শিবচর, জাজিরা এলাকার মানুষের চিরাচরিত দুঃখের কারণ। বর্ষা এলেই ডুবে যেতো রাস্তাঘাট। কখনও নৌকা, কখনও ভাঙাচোরা রাস্তা দিয়ে পায়ে হেঁটে চলতে হতো। দুর্গম যোগাযোগ ব্যবস্থার কারণে ব্যবসা-বাণিজ্য বলে তেমন কিছুই ছিল না।



জীবিকার তাগিদে মানুষ পদ্মা পাড়ি দিয়ে চলে আসতো ঢাকায়। সময়ের আবর্তনে সেই পদ্মায় বদলে গেছে মানুষের জীবন। পদ্মা সেতু, পদ্মা সেতু রেল সংযোগ প্রকল্প এবং ঢাকা-মাওয়া-ভাঙ্গা এক্সপ্রেসওয়ের কারণে অবিশ্বাস্য দৃশ্যমান উন্নয়ন হয়েছে পদ্মার এপাড়-ওপাড়। ঢাকা-মাওয়া এক্সপ্রেসওয়ের কারণে ঢাকা থেকে মাওয়ার দূরত্ব যেমন কমে গেছে, একইভাবে জাজিরা-ভাঙ্গা এক্সপ্রেসওয়ের বিশাল কর্মযজ্ঞে যোগাযোগ ব্যবস্থা এখন উন্নত বিশ্বের মতোই সহজ ও আরামদায়ক।

পদ্মার ওপাড়ে ৫৫ কিলোমিটার দীর্ঘ এই দৃষ্টিনন্দন এক্সপ্রেসওয়ের চার লেনের সাথে রয়েছে সার্ভিস লেন। যেটা দিয়ে ঝুঁকিমুক্তভাবে চলছে ধীরগতির যানবাহন। সরেজমিনে জাজিরা থেকে ভাঙ্গা পর্যন্ত এক্সপ্রেসওয়ে ঘুরে দেখা গেছে, দৃষ্টিনন্দন এবং আধুনিক ট্রাফিক ডিজাইন সমন্বিত এক্সপ্রেসওয়ে উন্নত বিশ্বের সড়কের সঙ্গে সমন্বয় করে নির্মিত। সার্ভিস লেনের দু’পাশে সবুজ বনায়ন। আর চার লেনের মাঝখানে ফুটে আছে রঙবেরঙের ফুল। সড়কের দুপাশে সবুজ গাছগাছালি তো আছেই। যা ইউরোপ-আমেরিকার সড়কের চেয়ে কোনো অংশে কম নয়।

আগামী বছর অর্থাৎ ২০২১ সালে পদ্মা সেতু চালু হলে ঢাকা থেকে পদ্মা সেতু হয়ে ভাঙ্গা যেতে সড়কপথে সময় লাগবে মাত্র ৪৫ মিনিট। এখন ঢাকার যাত্রাবাড়ী থেকে এক্সপ্রেসওয়ে হয়ে সড়কযানে মাওয়া যেতে সময় লাগছে মাত্র ৩০ মিনিট। এই মহাসড়ক ব্যবহারের আগে যাত্রাবাড়ী থেকে মাওয়া যেতে লাগতো গড়ে দুই ঘণ্টার বেশি। এরপর পদ্মা সেতু পাড়ি দিতে লাগতো প্রায় আড়াই ঘণ্টা। সেখান থেকে ভাঙ্গা যেতে লাগতো আরও প্রায় দুই ঘণ্টা। পদ্মা সেতু চালু হলে এই ৬ ঘণ্টা সময় কমে হবে ৪৫ মিনিট।

সংবাদটি শেয়ার করুন:

Author: verified_user

ই-মেইল: amarchapaibd@gmail.com