Jun 2, 2020

মসজিদে সরকারি বরাদ্দ আত্মসাৎ,বিএনপি নেতাদের বিরুদ্ধে অভিযোগ


চাঁপাইনবাবগঞ্জের গোমস্তাপুর ইউনিয়নের সরকারি বরাদ্দের ৯১ হাজারের মধ্যে মাত্র ২০ হাজার টাকা পেয়েছে নিমতলা-সড়কপাড়া জামে মসজিদ কর্তৃপক্ষ। বাকি ৭০ হাজার টাকায় আত্মসাতের অভিযোগ উঠেছে স্থানীয় বিএনপি নেতাদের বিরুদ্ধে। অভিযোগ রয়েছে, চাঁপাইনবাবগঞ্জ-২ (গোমস্তাপুর, নাচোল, ভোলাহাট) আসনের বিএনপির সংসদ সদস্য আলহাজ্ব আমিনুল ইসলাম নিমতলা-সড়কপাড়া জামে মসজিদের উন্নয়ন কাজের জন্য সরকারি বরাদ্দ টি.আর. হতে ৯১ হাজার টাকা প্রদান করেন। মসজিদের সভাপতির কাছে কাগজপত্রে ৯১ হাজার টাকা উল্লেখ করে সাক্ষর নিলেও মাত্র ২০ হাজার টাকা দেয়া হয়। এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন মসজিদের সভাপতি মো. মাইনুদ্দিন ও কয়েকজন মুসল্লী। মসজিদে বরাদ্দের সরকারি অর্থ আত্মসাতের ঘটনায় নেতৃত্ব দিয়েছেন, ইউনিয়ন বিএনপির সভাপতি সৈয়দ আনোয়ার হোসেন। তবে অনুসন্ধানে জানা যায়, এ ঘটনায় সৈয়দ আনোয়ার হোসেনের সাথে আরো ছিলেন, গোমস্তাপুর ইউনিয়ন পরিষদের ৮নং ওয়ার্ড সদস্য ও উপজেলা যুবদলের সদস্য সচিব মো. নেজাম উদ্দিন, বিএনপি নেতা কাবাতুল্লাহ, কাহাফিল হক পনি, মতিসহ আরো কয়েকজন। 

নিমতলা-সড়কপাড়া জামে মসজিদের সভাপতি মো. মাইনুদ্দিন জানান, আনুমানিক ৩ মাস আগে আমি যেখানে সাক্ষর করেছি সেখানেও ৯১ হাজার টাকার কথায় উল্লেখ ছিল। কিন্তু আমাকে মসজিদের জন্য মাত্র ২০ হাজার টাকা দেয়া হয়েছে। ঘটনাটি মসজিদের অনেক মুসল্লী ও স্থানীয় গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গও জানে। সবকিছু জেনেও ২০ হাজার টাকা পেয়েও কোন প্রতিবাদ করেননি কেন? এ প্রশ্নের উত্তরে মসজিদের সভাপতি আরো বলেন,  বাকি ৭০ হাজার টাকা এলাকার অসহায়, দরিদ্র, দুঃস্থদের সহায়তা করা হবে বলে জানায় আমাকে। তবে আমি শুধুমাত্র একজনকে সাহায্য করতে দেখেছি, বাকিদের ব্যাপারে ও অবশিষ্ট টাকার ব্যাপারে কিছু জানিনা। 

নাম প্রকাশ না করার শর্তে মসজিদের একজন মুসল্লী বলেন, আমরা বিষয়টি শুনেছি ও জানি। কিন্তু কিছুই করার নাই। কারন তাদের এমপি দিয়েছে, তারা যা ইচ্ছে করবে। 

মসজিদ কমিটির এক সদস্য জানান, সভাপতির সরলতার সুযোগ নিয়ে স্থানীয় বিএনপি নেতারা এমনটি করেছে। কিন্তু টাকা তো আর কোন দলের নয়। এটি সরকারি অর্থ, মসজিদের জন্য দেয়া হয়েছে৷ সভাপতিকে ভুলভাল বুঝিয়ে তারা এই অর্থ আত্মসাৎ করেছে তারা। এর কঠিন শাস্তি হওয়া উচিত।

এব্যাপারে কিছুই জানেন না বলে দাবি করেন, গোমস্তাপুর ইউনিয়ন পরিষদের ৮নং ওয়ার্ড সদস্য ও উপজেলা যুবদলের সদস্য সচিব মো. নেজাম উদ্দিন। তবে তার সামনেই সভাপতিকে ২০ হাজার টাকা গুনে দেয়ার সময় নেজাম উদ্দিন  উপস্থিত ছিলেন বলে জানান মসজিদের সভাপতি মো. মাইনুদ্দিন। অন্যদিকে ইউনিয়ন বিএনপির সভাপতি সৈয়দ আনোয়ার হোসেনের সাথে কয়েকবার মুঠোফোনে ও তার বাসায় গিয়েও পাওয়া যায়নি।
সংবাদটি শেয়ার করুন:

Author: verified_user

ই-মেইল: amarchapaibd@gmail.com