Dec 23, 2019

চাঁপাইনবাবগঞ্জে শীতের পোষাক বেচা-কিনার হিড়িক

চাঁপাইনবাবগঞ্জে জমে উঠেছে শীতবস্ত্রের বেচা-কেনা। মধ্যবৃত্ত, নিম্ন মধ্যবৃত্ত ও নিম্ন আয়ের মানুষসহ প্রায় সকল শ্রেণীপেশার মানুষ ফুটপাত বাজারগুলো থেকে শীতের কাপড় কেনাকাটা করছে।বাজারের বিভিন্ন স্থানে সরেজমিনে ঘুরে দেখা যায়,আধুনিক বিপনী-বিতান থেকে শুরু করে ফুটপাতে সারিবদ্ধ ভাবে শীতের পোশাক সাজিয়ে বসে আছেন বিক্রেতারা।

কোথাও ঝুলিয়ে রাখা হয়েছে বাহারি স্যুট-কোট। কোথাও রয়েছে সোয়েটার, জ্যাকেট, শীতের টুপি, মাফলার, ট্রাউজার, মোটা কাপড়ের ফুলহাতা শার্ট, গেঞ্জী, হাতমোজাসহ বিভিন্ন ধরনের শীতবস্ত্র। বিশেষ করে সদর উপজেলার বঙ্গবন্ধু মুক্তমঞ্চের গাঁ ঘিষে বসেছে ফুটপাতের বাজারে দেখা গেছে, রাস্তার পাশ দিয়েই পুরাতন কাপড় ব্যবসায়ীরা শীতবস্ত্রের পসরা সাজিয়ে বসেছে। এসব দোকানে খুচরা মূল্যে শীতবস্ত্র বিক্রি করা হচ্ছে। সকাল থেকে রাত পর্যন্ত চলছে গরম কাপড়ের বেচাকেনা। হকারদের হাকডাকে মুখরিত ফুটপাত।বিশেষ করে শিবগঞ্জ বাজারের ফুটপাতের দোকান গুলা। পথচারীরা চলতে গিয়ে একবারের জন্য হলেও বেছে নিচ্ছেন নিজের ও পরিবারের ছোট-বড়দের গরম পোশাক।

নিউ মার্কেট,সেন্টু মার্কেট,ক্লাব সুপার মার্কেট,নতুন হাটের কিছু মার্কেট শিবগঞ্জে তাজ মার্কেট,পৌরমার্কেট,ভোলাহাট,নাচোল গমোস্তাপুরের কিছু কিছু মার্কেটের গার্মেন্টস-এর দোকানসহ নগরীর অন্যান্য মার্কেটের প্রতিটি গরম কাপড়ের দোকানে ক্রেতাদের ভিড় দেখা যাচ্ছে চোখে পড়ার মত।

ফুটপাতের দোকানগুলোকে একটি সোয়াটারের দাম প্রায় ৬০-১২০ টাকা, বাচ্চাদের কাপড় ৪০ থেকে শুরু করে ১৫০ টাকা পর্যন্ত, মাফলার প্রায় ৪০-৫০ থেকে ১৭০ টকা পর্যন্ত বিক্রি হচ্ছে। সাদ্ধের মধ্যে থেকেই পছন্দের শীতের পোশাকটি বেছে নিতে চেষ্টা করছে নিম্মবিত্ত দরিদ্র মানুষেরা। ফুটপাতের দোকানদার সদাগর জানান, দির্ঘদিন ধরে ব্যবসা করে আসছি। শীত বেশি পড়লে ব্যবসা অনেক ভালো হয় এবং শীত কম হলে বেচা কেনা কম হয়। বড়দের জ্যাকেট, সোয়েটার, কোট, বাচ্চাদের কাপড় পাওয়া যায়, সেগুলোর দাম তুলনামূলক একটু কম হয়। কোন পোশাকের মূল্য নির্দিষ্ট করা থাকে না। তবে দরকশাকশি ছাড়া পছন্দের পোশাক ক্রেতাদের কেনা সম্ভব হয় না। সব পোশাকের দাম একটু বেশি করে চাওয়া হয়। যাতে বিক্রেতারা তাদের লাভ পুশিয়ে নিতে পারেন। শীতবস্ত্র বিক্রেতা আলম জানায়, সব বয়সী মানুষের পোশাক বিক্রয় হচ্ছে, এসব ফুটপাত গুলোতে। গার্মেন্টস আইটেমের চেয়ে পুরাতন শীতবস্ত্র বিক্রি করে বেশি লাভ হয়। ভাগ্যের ওপর নির্ভর করে আমাদের লাভ-লোকসান।

কেননা আমরা এক একটি কাপড়ের গাইট কিনি ৫০ হাজার থেকে ১ লক্ষ্য টাকায়, সেই বিদেশী গাইট গুলো থেকে কখনো ভালো কাপড় বেরহয় কখনো আবার খারাপ । ফুটপাতে শীতের পোশাক কিনতে আসা সুমি নামে এক ক্রেতা বলেন, শীত আসলে কেনা কাটার ধুম বেড়ে যায়। প্রতিনিয়ত শীতের পোশাক ক্রয়করি, তারপরেও অনেক কিনতে ইচ্ছে করে। বিশেষ করে শিশুদের দিকটা আলাদা। তাদের জন্য দেখে-শুনে ভালো শীতের পোশাক ক্রয় করি, ফুটপাথের দোকানগুলোতে শীতের অনেক ভালো পোশাক পাওয়া য়ায়। দামের দিক দিয়েও মোটামুটি সস্তা। তবে দরদাম করেই পোশাক কিনছি।
সংবাদটি শেয়ার করুন:

Author: verified_user

ই-মেইল: amarchapaibd@gmail.com