ওই যুবক জানান, শুক্রবার বিকেলে কয়েকজন বন্ধুদের
সাথে নিয়ে পদ্মার চরে ঘুরতে গেছিলাম।আমার মোটরসাইকেলটা এক জায়গায় দাঁড় করিয়ে হাটছিলাম।হঠাৎ
একটি সাপ দেখতে পাই। আমার এক বন্ধু জসিমকে বাঁশ আনতে বলি।সে বাঁশ নিয়ে আসার পর তাকে
(সাপ) শক্ত করে ধরি।আমার কাছে থাকা একটা চাদর দিয়ে ওই সাপের মাথাটা মুড়িয়ে মোটরসাইকেলে
করে বাসায় নিয়ে আসি।
ওই যুবক আরোও জানান, বাড়িতে সাপটাকে নিয়ে
এসে বালতি করে রেখেছি।এখনও বালতিতে আছে।আমি বাড়িতে এসে ইউটিউবে সার্চ দিয়ে জানতে পারি
যে; এটা একটা রাসেল ভাইপার সাপ।আমি জানলে আগে এটা ধরতাম না।আমি এই সাপটাকে নিদিষ্ট
কতৃপক্ষের কাছে জমা দিতে চাই।
উইকিপিডিয়া সুত্রে জানা যায়,এর নাম চন্দ্রবোড়া বা উলু বোড়া। বৈজ্ঞানিক নাম: Daboia russelii । এই সাপ সবচেয়ে বিষাক্ত ও এর অসহিষ্ণু ব্যবহার ও লম্বা বহির্গামী। বিষদাঁতের জন্য অনেক বেশি লোক দংশিত হন। বিষক্রিয়ায় রক্ত জমা বন্ধ হয়ে যায়। ফলে অত্যধিক রক্তক্ষরণে অনেক দীর্ঘ যন্ত্রণার পর মৃত্যু হয়।এরা দেহ মোটাসোটা, লেজ ছোট ও সরু। প্রাপ্তবয়স্ক সাপের দেহের দৈর্ঘ্য সাধারণত এক মিটার; দেহের সর্বোচ্চ দৈর্ঘ্য ১.৮ মিটার পর্যন্ত হয়।
এরা নিচু জমির ঘাসযুক্ত উন্মুক্ত পরিবেশে এবং কিছুটা শুষ্ক পরিবেশে বাস করে। এরা নিশাচর।এরা খাদ্য হিসেবে ইঁদুর, ছোট পাখি, টিকটিকি ও ব্যাঙ ভক্ষণ করে।“আইইউসিএনের ২০১৫ সালের লাল তালিকা অনুযায়ী রাসেলস ভাইপার বাংলাদেশে সংকটাপন্ন প্রাণীর তালিকায় রয়েছে।বাংলাদেশের ২০১২ সালের বন্যপ্রাণী (সংরক্ষণ ও নিরাপত্তা) আইনে এ প্রজাতিটি সংরক্ষিত।